বেলাল আজাদ, কক্সবাজার ॥
কক্সবাজার আদালতে মামলার বাদীকে ভূয়াঁ মামলা দায়ের ও মিথ্যা স্বাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে জেল হাজতে পাটিয়েছেন বিচারক। ২০ জুলাই দুপুরে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২০১০ সালের ৮ মার্চ উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের লম্পরী পাড়া গ্রামের আলী হোছনের স্ত্রী নুরনাহার বেগম (৩০) একই এলাকার উমর আলীর পূত্র বদিউর রহমান, ছৈয়দুর রহমানের পূত্র ফরহাদ, জাফর আলমের পূত্র ছাবের আলম, আব্দু ছবির পূত্র আবু ছৈয়দ ও আবুল কালাম এবং মোঃ হোছনের পূত্র আবু বক্করের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ৪ (খ)/৩০ ধারায় নারী নির্যাতন মামলা (নং-২০৫/২০১২) দায়ের করেন। এই মামলায় আসামী ফরহাদ, ছাবের আলম ও আবু ছৈয়দ দীর্ঘ ১ মাস ৫ দিন জেল হাজতেও ছিল। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০ জুলাই কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনালে বাদী নুর নাহার বেগম ও তার শ্বাশুরী ছখিনা খাতুন পিপির মাধ্যমে আদালতে স্বাক্ষীর হাজিরা দাখিল করেন, নির্ধারিত সময়ে আদালতের ডকে দাঁড়িয়ে বাদী স্বাক্ষীর জবানবন্দি প্রদান কালে ‘বাদী ইতিপূর্বে কখনো কোর্টে আসেনি এবং মামলায় কোন স্বাক্ষর দেয়নি’ বলার পর মামলাটি একটি ভূয়াঁ মামলা ও মিথ্যা স্বাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়টি প্রতীয়মান হওয়ায়, বিজ্ঞ বিচারক মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদী নুর নাহার বেগমকে ৭ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনালের পিপি এড. মোঃ নুরুল ইসলামের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন মন্তব্য না করে আদালত থেকে বিষয়টি জেনে নিতে বলেন । আসামী পক্ষের আইনজীবী এড.তাপস রক্ষিত জানান, বাদীপক্ষ এই নিরীহ আসামীদের বিরুদ্ধে পরপর এক ডজনের মত মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে, যা কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনাল সহ বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন আছে।এ ঘটনায় আদালতপাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পাঠকের মতামত: